রুপা ধর্ষণ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন পিছিয়েছে।

আজ এই মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলেও টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল মান্নান ছুটিতে থাকায় অভিযোগ গঠন হয়নি। অভিযোগ গঠনের আগামী দিন ধার্য করা হয়েছে ২২ নভেম্বর।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে এম মো. নাছিমুল আখতার জানান, গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারিক আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত মধুপুর থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হয় মামলাটি। মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান। আজ অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলেও আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান ছুটিতে থাকায় এর দিন পিছিয়ে আগামী ২২ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালতে ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহায়তায় ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পর দিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে বোনকে শনাক্ত করেন। ২৮ আগস্ট এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহণের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫), জাহাঙ্গীর (১৯), চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকে আদালতে হাজির করা হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকে  কারাগারে রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর